মোসাদ্দেক চৌধুরী আবেদ | শুক্রবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২০
লক্ষ তারার চেয়েও একটি চাঁদই পৃথিবীকে আলোকিত করে রেখেছে। নিউইয়র্কের প্রতি তাই কৃতজ্ঞতার শেষ নেই আমার। আমেরিকা আসার পর নিউইয়র্কে আমার নতুন জীবন শুরু হয়। মনে হলো এই নিউইয়র্ক আমাকে পাগলের মতো ভালোবেসেছে। নিউইয়র্ক আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে এতদিনে। জাতি বেঁচে আছে এই দেশের সিস্টেমের কারনে। এ রাষ্ট্র যা দিয়েছে তা বলে শেষ করা যাবেনা কখনো। এই দেশের কাছে আমরা কতোনা ঋণী। এ দেশের ঋণ আমরা শোধ করতে পারবো না কোন দিন। এই দেশের জন্যে আমরা বেঁচে আছি, জাতি বেঁচে আছে।
কেউ যদি বলেন, আমেরিকা আমাকে কিছু দেয়নি। বলবো সে অকৃতজ্ঞ। অকৃতজ্ঞই বলতে হবে তাকে। সে অমানুষ। একটা দেশ তাঁর জনগণের জন্যে এত কিছু দিতে পারে না যা আমেরিকা দিয়ে আসছে অকাতরে অবিরাম, যা অকল্পনীয়। চাওয়ার চাইতেও বেশি দেয় এ দেশ। এই দেশটির সৃষ্টিই হয়েছে যেন তাঁর জনগণের জন্যে। শুরুতেই এ দেশ তার সন্তানদের ভিত গড়ে দেয়। দায়িত্ব নেয় সন্তান তার মায়ের পেটে থাকতেই। রাষ্ট্র মায়ের যত্ন নেয় পরম মমতায়। তার চিকিৎসা সেবা, নার্সিং, পরিচর্জা, খাওয়া-দাওয়া সব খরচ রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র মনে করে অনাগত শিশুটি আমেরিকার। এ শিশুর দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র তাই করে যাচ্ছে অনাদিকাল। এটাই আমেরিকার সিস্টেম, আমেরিকার কালচার। এ কারনেই আমেরিকা আমাদের অহংকার, রাষ্ট্র তাঁকে বরণ করে নেয় পরম মমতায়। তাঁর স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য, শিক্ষা সব কিছুর খরচ রাষ্ট্রের। এভাবেই আমেরিকার সন্তানেরা মানুষ হিসেবে তৈরি হয় রাষ্ট্রের পরিচর্যায়। শিক্ষা ব্যবস্থা কতোনা উন্নত এখানে। খাবার দাবার পড়াশুনা সব কিছুই স্কুলে। শিক্ষকেরা তাঁর ছাত্রদের শিক্ষা দেয় হাতে কলমে, ঠিক মায়ের আদরে। এক একটি স্কুল যেন বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি। কি নেই এখানে। ক্যাফেটেরিয়া, অডিটোরিয়াম থেকে আরম্ভ করে প্রতিটি রুম কি সুন্দর পরিপাটি দেখার মতো। পড়াশুনার পর ছেলে মেয়েরা খেলা করে শিক্ষকদের সাথে। এই দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞ না হয়ে কিভাবে পারি বলুন।
এখানে সমাজ, জীবন ব্যবস্থাটাই অসাধারণ। নম্র, ভদ্র হতে শিখায়। মিথ্যা কথা কিভাবে বলতে হয় এরা তা জানে না। সে শিক্ষা তারা পায়নি ছোট থেকেই। অন্যায় করলেও সত্য কথাটিই বলে দেয় অকপটে। আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না। এ দেশের সরকার কতোটা দায়িত্ববান। রাস্ট্র তার জনগণের জন্য। সেই উদ্দেশ্য আকাঙ্ক্ষা নিয়েই এ দেশের সরকার ক্ষমতায় আসেন। সব কাজ করেন তাঁর দায়িত্ব নিয়ে। এই দেশের প্রতিটি নাগরিক কতোটা খুশি কতোটা নিরাপদ ভাবতে পারেন। রাষ্ট্র ব্যবস্থা এমন করেই সাজানো। যে সরকারই আসুক না কেন, তাঁরা নাগরিকের জন্য জীবন দিয়ে কাজ করেন। উদ্দেশ্য একটিই, জনগণের উন্নতি সাধন করা, তাদের জীবনের নিরাপত্তা বিধান করা। রাষ্ট্রনেতারা সেভাবেই কাজ করে যান অবিরাম। রাষ্ট্র ব্যবস্থা কি রকম পরিপূর্ণ, কোথাও কোন খুঁত নেই যেন। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের। নেতারা কোন প্রকার চুরি ডাকাতি করতে পারবেন না। ধরা পড়ে যাবেন। এমনকি প্রেসিডেন্ট পর্যন্তও। প্রেসিডেন্ট থেকে গভর্নর, সিনেটর, কংগ্রেসম্যান, মেয়র সবাই নিয়মের বাইরে যেতে পারবেন না। কোন উপায় নেই। শাস্তি আপনার হবেই। কোন পার পাবেন না।
এফবিআই (ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) একটি স্বাধীন সংস্থা। এরা কারোর ধার ধারে না। যে কারোর তদন্ত করতে পারেন। অন্যায় করেছেন তো মরেছেন। এই দেশের আইন সবার জন্য সমান। অন্যায় দুর্নীতির কারনে বহু নেতা গভর্নর, মেয়র জেল খাটছেন। আপনি ক্ষমতায় আছেন বলেই যে লুটপাট করে নিয়ে যাবেন তা পারবেন না। এটা বাংলাদেশ না, চুরি ডাকাতি করে পার পেয়ে যাবেন। এখানে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা। কোন তদবীর সুপারিশ নেই। প্রেসিডেন্টেরও ক্ষমতা নেই বিচার বিভাগের উপর হস্তক্ষেপ করার। বিচারকগণ তা শুনবেনও না। আগে দেখবেন আইন কি বলে। আইন বড় কড়া এখানে। এ জন্যেই কেউ নিয়মের বাহিরে যায় না।
এ দেশটি আমার জন্মভূমি নয়। তবুও মনে হয় এই দেশটিই আমার। এই দেশটি আমার মা। আমেরিকা আমার দেশ। এ দেশে আমার সন্তানেরা বড় হয়। মানুষের মতো মানুষ হয়। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্মানের জাতি হিসেবে এরা বড় হয়। শিক্ষা ব্যবস্থা এদের সত্যিকারের মানুষ হিসেবে তৈরি করে দেয়। এই দেশটা কতো না আপন, কতো না শান্তির দেশ। হিংসা বিদ্দেশ, হানাহানি দেখি না কোথাও। কেউ কারোর প্রতি হিংসা করে না এখানে। এপার্টমেন্টের দরজা খুলে যে কেউ চলে যাই, কোন ভয় নেই। বিপদে পরলে পুলিশকে কল দিলে সাথে সাথেই চলে আসে। এ দেশ আমায় কি না দিল। এ দেশকে আমি কি করে ভুলে যাই।
জন এফ কেনেডি এয়ারপোর্টে আমাদের বিমানটি যখন ধপাস করে পরলো, প্রাণ আমার আঁতকে উঠলো। আমার ভাই আজম, লাকি, তাঁদের ছেলে আসিম, ফাহিম আমাদেরকে অভ্যর্থনা জানালো। বুকটা আমার দুরুদুরু করছিলো। এত এক মহাসমুদ্রের মতো। কি করি, কোথায় যাই, কোথায় আমার ঘর। ওরাই আমাদেরকে ওদের নিউজার্সির বিরাট বাড়িতে উঠায়। ওদের ওখানেই আপাতত ঠিকানা হয়। দেখলাম প্রতিটি মানুষ এখানে বড় ব্যস্ত। কারো কথা বলার সময় নেই। কাজ, কাজ আর কাজ। এত এত মানুষ টু শব্দটি পর্যন্ত নেই। যার যার কাজ নিয়ে তারা তারা ব্যস্ত। কাজ ছাড়া এরা বোঝেনা কিছু।
এ জন্যই আমেরিকা এত উন্নত। একদিন ইমিগ্রেশন অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়ে এলাম। বুঝিনা কিছু কি হবে আমার। যথারীতি একদিন যার যার নামে গ্রিন কার্ড (পারমানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড), স্টেট আইডি, সোশাল সিকিউরিটি কার্ড পোস্টে বাসার ঠিকানায় চলে আসলো। আমরা তো অবাক। এত সহজে এত বড় কিছু কি পাওয়া যায়। কোন ঘুষের, কোন তদবিরের প্রয়োজন পরলো না পর্যন্ত। কি নির্মল ভালোবাসার দেশ। চিঠিতে লেখা, “আমেরিকায় আসার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট হিসেবে তোমাকে বরণ করে নিলো আমেরিকা। তোমার জন্য শুভ কামনা রইলো আমাদের। কোন সমস্যায় পরলে আমাদের জানিও”। এমনি ভাবেই আমেরিকার আকাশ বাতাস মাটির সাথে মিশে গেলাম। এ দেশটাকে ভালবেসে ফেললাম। এই দেশটি আমার কতো না আপন। আমেরিকার প্রতিটি ব্যুরোতে “ওয়ার্কফোর্স” নামে চাকুরীর খোঁজ পাওয়ার প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়েছেন সরকার। আপনি সেখানে যান। যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পেয়ে যাবেন। তবে সব জায়গায় পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হয়। আপনার যোগ্যতা প্রমান করতে হয়। এখানে কাউকে বেকার থাকতে হয়না কখনো। অনেক অনেক সময় জব ফেয়ার হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চোখ কান খোলা রাখতে হয় শুধু।
১০ বছর এভাবে কাজ করুন। আপনার যদি ৪০ পয়েন্ট হয়ে যায়, আর বয়স যদি ৬৬ বছর হয়, রাষ্ট্র আপনাকে পেনশন দিয়ে দিবে আজীবনের জন্যে। আর কি চান আপনি। আপনার নিরাপত্তা সব কিছু রাষ্ট্রের। এজন্যে এ দেশটা এতো সম্মানের। এজন্য এ দেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। রাষ্ট্র তাঁর জনগণের জন্যে।
আমার স্ত্রী হঠাৎ করে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পরেন। ছেলে মেয়েরা সব ভয়ে আতঙ্কে। ৯১১ কল করা মাত্রই সাস্থ্যকর্মীরা এম্বুলেন্স নিয়ে আসলেন মুহূর্তেই। তাঁর অবস্থা জটিল দেখে এম্বুলেন্স উড়াল দিয়ে নিয়ে গেল হাসপাতালে। হাসপাতালের গেইট থেকেই ডাক্তার, নার্স ছো মেরে নিয়ে গেলেন অপারেশন রুমে। সৃষ্টিকর্তা যেন দেবদূত হিসেবে তাঁদেরকে পাঠালেন। তিনি হার্ট এটাক করেছেন। আইসিউর অবজারবেশন রুমে ডাক্তার, নার্স তাঁর শিয়রে। কি উন্নতমানের চিকিৎসা এখানে। এত বড় চিকিৎসা হলো কোন খরচপাতি নেই। সব দায়িত্ব সরকারের। কারন তিনি এ দেশের নাগরিক। ভাবতে পারেন এ কেমন দেশ। এ দেশের জন্য চোখের জল না ফেলে কি পারি। আর আমাদের দেশে ঢাকার রাস্তায় এম্বুলেন্স দেখেছিলাম কিনা মনে পড়ে না। এখানে ছোট বড় সব অসুখে এম্বুলেন্স এসে যায় স্বাস্থ্য সেবায়। সিস্টেমের কারনে আমেরিকা আজ এত বড়। নির্দেশের অপেক্ষা লাগেনা কোন। সবাই যার যার কাজ করে যায় নিয়ম মতো। আমেরিকার সীমানায় আকাশ পথে যে সন্তানটি ভূমিষ্ঠ হয়, তার দায়িত্বও এ দেশের সরকারের। সেও এদেশের নাগরিক। আপনি কোন দেশের কোন মানুষ তা বিবেচ্য বিষয় নয়। এ দেশ শত্রু মিত্র বোঝেনা কিছুই। দেখুন না, চায়নার সাথে আমেরিকার অর্থনৈতিক ভাবে কতো বিরোধ। অথচ এখানে প্রচুর চাইনিজের বাস। চায়না টাউন, ফ্লাশিং এ গেলে দেখবেন, এ যেন চীনের দেশ। তাদের কোন অসুবিধে নেই। কারন তারা চীনের নয় তারা আমেরিকান। আমেরিকার সাধারণ মানুষ সহজ সরল তারা বিভেদ বিচ্ছেদ জানেনা কিছু। এখানে সবাই সবার।
আমেরিকায় এত শান্তি আর নিরাপত্তা আছে বলেইতো মানুষ এ দেশে আসতে চায়। এ দেশের সরকারই তাঁর জনগণকে মাথায় ছাতা দিয়ে আগলে রাখেন। এদেশের তুলনা হয়না। দেশের প্রতিটি মানুষ আমেরিকাকে ভালবাসেন। দেশটিকে নিয়ে গর্ব করেন। এ দেশে না খেয়ে মরেনা কেউ। রাষ্ট্র তাঁর সাধ্যমত চেষ্টা করে যায় ঠিক মায়ের মতোন। এজন্যেই এদেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেন। আর এ কারনেই আমেরিকা আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এ দেশ তাঁর প্রতিটি নাগরিকের জন্য আশীর্বাদের। রাষ্ট্রের কাছে দেশের মানুষ বড় মূল্যবান। এ দেশে সবাই “সেলফ মেইড ম্যান”। পরিশ্রম করেই এদেশের মানুষেরা বড় হয়। কাজ তার সম্মানের। কাজই একদিন প্রতিষ্ঠা এনে দেয়। আমার বাড়ি, গাড়ি অর্থ সব কিছু আমেরিকার জন্যে। দিন শেষে এই দেশটিই আমার প্রাণ। এই দেশেরটার খেয়েই আমার রক্তের ধারা প্রবাহমান। এ দেশটার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। সন্তানেরা উচ্চ শিক্ষার দ্বারপ্রান্তে প্রায়। দেশটির দিকে তাকালে চোখ বেয়ে পানি গড়ায়। হায় আমেরিকা তুই আমায় কি না দিলি। ইচ্ছে হয় এই দেশটাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদি।
প্যান্ডেমিকের সময়ে সরকার এ দেশের জন্য কি না করলো। দেশের জনগণের জন্যে অর্থ ভান্ডার খুলে দিলো। কি লাগবে তোমার, সব নিয়ে যাও। তবুও তোমরা ভালো থেকো। নাগরিকদের যার যার একাউন্টে অর্থ চলে যায়। এ দুই এক লক্ষ লোকের জন্যে নয়, কোটি কোটি লোকের, আমেরিকার সব নাগরিকের। কি ডিসিপ্লিন্ড এ দেশ, কোন হইচই নেই। এর জন্যে লাইন ধরে দাড়াতে প্রয়োজন পরলো না পর্যন্ত। সারা বছর ধরে আনএমপ্লয়েড নাগরিকদের জন্য অর্থ দিয়ে যাচ্ছেন সরকার। তাতেও তোমরা সুখে থাকো। তোমরাই দেশের মালিক, এ অর্থ তোমাদের। আমরা শুধু এসবের রক্ষক মাত্র। একি ভাবতে পারেন, এ কেমন দেশ। শুধু কি তাই। ছোট বড় সব ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদেরকে, সব এয়ারলাইন্স কোম্পানিদেরকে, লক্ষ লক্ষ ডলার দিয়ে সাহায্য করেছে এ দেশ। দেশের নাগরিক এ দেশকে কি ভুলতে পারবেন।
অথচ বাংলাদেশে ভালো মানুষের কতো অভাব। এখানে কেউ কাউকে সম্মান দিতে জানেনা। অধিকার বলতে কিছু নেই। যার শক্তি আছে সেই বড়, তার ক্ষমতাই বেশি। শিক্ষিত হলে কি হবে, সভ্য হতে পারিনি আমরা। সাথের দেশ ভিয়েতনাম, দক্ষিন কোরিয়া, সিঙ্গাপুর কোথায় চলে গেছে। আমরা শুধু পিছনেই পড়ে রইলাম। লুটপাট করতে জানি শুধু। হিংসা বিদ্বেষে ভরা। কার আগে কে খাবে। ফলে সহিংসতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কারো কাছে কেউ নিরাপদ নয়। রাস্তায় বের হলে সুস্থ ভাবে ফিরে আসতে পারবেন কিনা সন্দেহ। ক্ষমতাসীন দল যাকে ইচ্ছা তাকে ধরে, সাথে পুলিশেরা পর্যন্ত। যে পুলিশের কাছে মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, সেই পুলিশ মানুষকে পিটাতে পিটাতে মেরে ফেলে। টাকা দে নইলে শেষ।
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ও তার অন্য পুলিশ সদস্যরা মিলে রায়হানকে পিটাতে পিটাতে মেরে ফেলে। পত্রিকার ছবিতে দেখলাম, রায়হান আহমেদের কবরের পাশে লাগানো সমাধিফলকে লেখা “রায়হান আহমেদ বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেন”। হায় খোদা! এই কষ্ট রাখি কোথায়। থানার ভিতর আটকে রেখে নারীকে ধর্ষণ করে। লাজ লজ্জা সব চলে গেছে দেশ থেকে। বিচারের জন্য কোথায় যাবেন। কোথায়ও বিচার নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ লাগে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া বিচার হয়না দেশে। কোথাও আইনের প্রয়োগ নেই। আইন কথা বলে না। আইন যার যার মতো করে চলে। কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারেনা এখন। প্রতিটি মানুষের একটাই চাওয়া “আইনের শাসন চাই”। কোথাও কোন সুবিচার নাই। কোন কিছুই স্বাভাবিক ভাবে চলে না এখন। যার যা ইচ্ছা তাই করে বেড়ায়। অসহায় মানুষ কোথায় যাবে, কার কাছে যাবে, সেই ঠিকানা নাই।
Posted ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh