আশরাফ উদ্দিন আহমেদ | বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
প্রাইমারিতে টিকে থাকার যে নির্বাচনী লড়াই গতকাল হয়েছে তাতে ট্রাম্পের ক্রোধ আর প্রতিহিংসার কাছে দলের বিরুদ্ধবাদী প্রতিদ্বন্দ্বিদের বেশ ক’জন হেরে গেছেন। ডেমোক্রেট দলের জন্য এটি সুখবর নয় । গতকাল মোট তের জন প্রার্থীর স্বপক্ষে তিনি সমর্থন জানিয়েছিলেন। সাউথ ক্যারোলিনায় যে দুজন রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য ৬ জানুয়ারির ঘটনার কারণে তার বিরোধিতা করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে তিনি এতই সোচ্চার ছিলেন যে ন্যান্সি মেইস কোন রকমে টিকে গেলে ও টম রাইস শোচনীয় ভাবে হেরে যান। গভর্নর পদে ট্রাম্প সমর্থিত হেনরি ম্যকমাস্টার ৮৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেন । এটর্নি জেনারেল পদ প্রত্যাশী এলান উইলসন ৬৬ শতাংশ ভোট পান । সিনেটে টিম স্কট বিনা প্রতিদন্ধিতায় জেতেন যদিও তিনি কৃষ্ণাঙ্গদের ব্যাপারে ট্র্যাম্পের বক্ত্যবের সমালোচনা করেছিলেন। একাই ফলাফলে অর্থাৎ বিনা প্রতিদদ্ধিতায় জো উইলসন ও জিতেছেন । জেফ ডানকান আর অবস্থা ও একই। উইলিয়াম টিমন্স জিতেছেন ৫৩% ভোটে পেয়ে । রালফ নরম্যানের ও কোন প্রতিদন্ধি ছিল না । রাসেল ফ্র্যই ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেন । নর্থ ডাকোটাতে ট্র্যাম্প যে দুজনকে সমর্থন দিয়েছিলেন তাদের একজন কেলি আর্মস্ত্রং বিনা প্রতিদন্ধিতায় জিতেছেন । সিনেট প্রার্থী জন হভেন জিতেছেন ৭৮ শতাংশ ভোট পেয়ে । নেভাডাতে সিনেটে অ্যাডাম লেক্সলট আর জেতার সম্ভাবনা বেশী । নেভাডাতে জিম মার্চেন্ট সেক্রেটারি অফ ষ্টেট পদে রিপাবলিকান দলের মনোনীত প্রার্থী । ট্র্যাম্পের অন্ধ ভক্ত । মিড টার্মে জিতলে রিপাবলিক দলকে সব ধরনের সমর্থন দিবেন নিশ্চিত ভাবে বলা যায় । উল্লেখ্য কড়া যায় যে নেভাডাতে জো বাইডেন মাত্র ২.৪ শতাংশ বেশী ভোটে ট্রাম্পকে হারিয়েছিলেন । আবার অবস্থা ভিন্ন বলে মনে হয় । নেভাডাতে পল লাক্সালট এবং জো লাম্বারডো এ দুজনেরই মিড টার্ম নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা বেশী । এ দিকে টেক্সাস এ মায়রা ফ্লরেসকে ডেমোক্রেট দান সেঞ্চেজ কন্সেসন দিয়ে দিয়েছেন। ল্যাটিনো জনশক্তি বেশী হওয়ায় এ ষ্টেটে রিপাবলিকানদের অবস্থা অনেক ভাল । রিও গ্র্যান্ডে উপত্যকায় এ সময়ে রিপাবলিকান দল বেশ ভালভাবেই খুঁটি গাঁড়তে সক্ষম হয়েছে । নেভাডা এবং অ্যারিজোনা অঙ্গ রাজ্য দুটিতে ও ল্যাটিন জন গোষ্ঠী রিপাবলিকান দলের দিকে ঝুঁকছে । মেইন এ প্রাক্তন রিপাবলিকান গভর্নর পল লিপেজ ডেমোক্রেট দলে থেকে নির্বাচিত বর্তমান গভর্নর জ্যানেট মিলস আর মুখোমুখি হবেন আ কথা নিশ্চিত কারণ প্রাইমারিতে কারোরই কোন প্রতিদন্ধি নেই ।
আবারের মধ্যবর্তী কালীন নির্বাচনে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্র্যাম্পের প্রভাব বেশ স্পষ্ট ভাবেই পড়বে বলে মনে হয় । ২০২০ ইলেকশনের ফলাফল তার স্বপক্ষে নেয়ার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরও মূলত শ্বেতাঙ্গ কট্টরপন্থীদের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। দু দুবার ইম্পিসমেন্টের সম্মুখীন হলেও এদের কাছে তাঁর কদরে ভাটা পড়েনি।
৬ জানুয়ারির নাক্ক্যারজঙ্ক ঘটনার পর ও ট্র্যাম্পের জনপ্রিয়তায় ভাটা পরার তেমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা । কংগ্রেশনাল কমিটি দু’দিনের তদন্তে ৬ জানুয়ারির ঘটনার পেছনে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্র্যাম্পের সরাসরি ইন্ধন, পরিকল্পনা ও যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও তাঁকে অভিযুক্ত করতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে। ডেমোক্রেটদের অনেকে প্যানেলকে ট্র্যাম্পের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল রেফেরালের জন্য ব্যবস্থা নিতে বলছে। এটর্নি জেনারাল বলেছেন তিনি জেরা মনযোগ দিয়ে শুনছেন। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত গংরেসস প্রতিনিধি জুয়ান ভারগাস বলেছেন, সাক্ষ্য প্রমাণ যা এ দু দিনেই পাওয়া গেছে তাঁর ভিত্তিতেই ক্রিমিনাল কন্সপিরেচি প্রতিভাত হয় সন্দেহাতীত ভাবে।
সুতরাং, কমিটির উচিত হবে বিচার বিভাগে ক্রিমিনাল অভিযোগের জন্য ত্বরায় পাঠানো । তাঁর সাথে আরও অনেকেই আ মোট পোষণ করেন । তবে, কমিটির চেয়ারম্যান রিপোর্টারদের প্রশ্নের উতরে বলেন যে আমাদের কাজ নয় । আমরা দেখব তত্থ্য এবং পরিপ্রেক্ষিত যা ৬ জানুয়ারির ঘটনার পেছনে কাজ করেছে তা খতিয়ে দেখব। কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রেফ. লিজ চেনি ও একাই সূর্যে বলেছেন রেফেরাল আর ব্যপারতির কোন সুরাহা এখনো হয়নি । রিপাবলিকান এ নেত্রীসহ দলের দশ জন কংগ্রেস সদস্য ট্র্যাম্পের ইম্পিচমেন্টের স্বপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন । কমিটির চেয়ারম্যান থম্পসন পরবর্তীতে খোলাসা করে বলেন যে ক্রিমিনাল অপরাধ বিষয়টি তিনি উড়িয়ে দিতে চাছেন না । তবে, কমিটির সামনে মুখ্য বিষয় হচ্ছে সকল সাক্ষীদের জেরা থেকে প্রাপ্ত তথ্য পাওয়া এবং এ সবের ভিত্তিতে নিরূপণ করা এমন একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা কোন পরিস্থিতিতে হয়েছে এবং কারা ঘটিয়েছে ।
Posted ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh