বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

প্রেসিডেন্ট জন এডামসও ট্রাম্পের মতো করেছিলেন

মোসাদ্দেক চৌধুরী আবেদ   |   বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০

প্রেসিডেন্ট জন এডামসও ট্রাম্পের মতো করেছিলেন

নির্বাচনের আগেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগের পর অভিযোগ করলেন। আমেরিকার দীর্ঘ দিনের গণতন্ত্রকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ট্রাম্প আমেরিকার ইতিহাসে একজন বাজে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করলেন। তিনি অনেক খারাপ নজির রেখে গেলেন। পুনঃ কাউটিং এ যখন ভোটের ফলাফল একই রকম আসছে, তাতে পরিষ্কারভাবে ধারণা করা যায় নির্বাচন সুন্দর ও স্বচ্ছ হয়েছে। ট্রাম্পের আইনজীবীদের অভিযোগ বিচারকদের কাছে ধোপে টিকেনি। তাদের অভিযোগের কোনো প্রকার প্রমাণ তারা করতে পারেননি। চিন্তা করুন, আমেরিকার বিচার ব্যবস্থা কতোটা স্বাধীন, বাংলাদেশের মতো না। বিশ্বের ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় থেকেও বিচার ব্যবস্থা ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে কিছু করতে পারলেন না। আজকের আমেরিকায় এ ধরনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। কারণ আমেরিকার নির্বাচন ব্যবস্থা অত্যন্ত স্বাধীন, তাঁরা কোন দলের নয়। কেউ কোন কারচুপি করলে টিকতে পারবেন না, ধরা পড়ে যাবেন। আমেরিকার এমন নির্বাচন ব্যবস্থার চলে আসছে বহুদিন। আমেরিকা বিশ্বের কাছে অনেক অনুকরণীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ট্রাম্পের এ ধরনের অভিযোগ বর্ণবাদের উসকানি ছাড়া আর কিছুই নয়। পরিষ্কারভাবে বুঝা যাচ্ছে, তিনি দেশকে নিয়ে এক গভীর ষড়যন্ত্র করছিলেন। দেশকে ডিভাইডেড করে দিচ্ছিলেন।

মিখাইল গরভাছেভ সোভিয়েট ইউনিয়নকে যেভাবে টুকরো টুকরো করে দিয়ে গেছেন, ট্রাম্পও কি সেই ভাবে আমেরিকাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তা নিয়ে কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ভাবা দরকার। আমেরিকার গণতন্ত্র দিন দিন ভালোর দিকে যাচ্ছে। জনগণের কাছে তা আগ্রহ বেড়েছে। ট্রাম্প ও তাঁর দল যেভাবে মানুষের কাছে মিসইনফর্মেশন ও মিসমেসেজ দিচ্ছিলেন, তা দেশের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর ও দেশের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিলো। তা মোটেও কাম্য হতে পারে না একজন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে। এ জন্যই তাঁর বিচার হওয়া দরকার। দেশের ভিতরে তিনি বিভক্তি উস্কে দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে চেয়েছিলেন। দেশকে স্নায়ুযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। দেশের সাধারণ মানুষ তা হতে দেননি। আমেরিকার স্বাধীনতা লাভের পর বর্ণবাদ ও গৃহযুদ্ধের পর একটি দেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য শাসনব্যবস্থা পৌঁছে দিতে আমেরিকার ফাউন্ডিং ফাদারগণ ও সেই সাথে জনগণকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। ট্রাম কিন্তু এদেশকে সেই পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। তিনি অনেক বিপদজনক অবস্থায় এ প্রিয় দেশটিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল মেনে না নেওয়া এবং ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ইচ্ছা, আমেরিকার রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক ধারাকে তিনি যে প্রশ্নবিদ্ধ ও ক্ষতি করেছেন, এজন্যে আমেরিকার জনগণ তার বিচার চাইতে পারেন। যাতে ভবিষ্যতে অন্য কেউ এমন করতে না পারেন।


আমরা যদি ট্রাম্পের গত চার বছরের রাজত্বকাল দেখি, কতজন আসছেন আর গেছেন। হায়ার এন্ড ফায়ার। দেখা যায় ৯১% কর্মচারী চলে গেছেন অথবা রিজাইন দিয়েছেন, যারা ট্রাম্পের সাথে আপোষ করেননি। তাঁর ব্যবসায়ে ঋণের দায় এখনো অনেক বেশি। তিনি কোনো ট্যাক্স দেন না। এসব আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্তের মুখোমুখি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প অরগানাইজেশনেরও গুরুতর তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প। ট্যাক্স ফ্রড, ব্যংক্রাপ্টসি ফ্রড, থেকে কিভাবে বাঁচবেন তিনি। একজন মানুষ একাই আমেরিকাকে বদলে দিতে পারেন না। ট্রাম্পের বিরাট সংখ্যক সমর্থন গোষ্ঠী আছে তা অস্বিকার করার উপায় নেই। আমেরিকা ফার্স্ট স্লোগান নিয়ে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। মিথ্যা বলতে বলতে তা সত্যতে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। কত অনৈতিক কাজ করেছেন। বারবার ভোট জালিয়াতির কথা বলে যাচ্ছিলেন ভোটের আগে থেকেই। সাধারণ মানুষ এ নিয়ে মোটেও ভাবেননি। প্রেসিডেন্ট নিজের রিপাবলিকানদের ফোন করেছেন অন্যায় কাজের।

এজন্যই পৃথিবীর মঞ্চে আমেরিকার রাজনীতিকে রিএস্টাবলিস্ট করতে হবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের। অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও করোনা বিপর্যয় থেকে দেশকে বাঁচাতে কাজ করে যাচ্ছেন জো বাইডেন। চায়নার সাথেও সম্পর্ক উন্নত করার তাগিদ তাঁর। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বাণিজ্যকে বাঁচাতে হবে তাঁর। আমেরিকা তো গ্রেট অনেক আগে থেকেই। কেউ তা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেনা। আমেরিকার পণ্য উৎপাদন করতে অনেক খরচ। এ জন্য আমাদের বিশ্বের সব দেশের সাথে বাণিজ্য করতে হবে। আমেরিকার কোন ক্ষেত্রে ব্যর্থ হওয়া যাবে না। দেড়শো বছর ধরে আমেরিকা বিশ্বের মধ্যে এখনও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী। আমরা কাউকে বুঝিনা, আমরা বুঝি আমেরিকার অর্থনীতি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন কিভাবে তা হ্যান্ডেল করবেন তা বিবেচ্য বিষয়। আমেরিকাকে আমরা সর্বোচ্চ জায়গায় দেখতে চাই। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে স্থানে দেশকে নিয়ে গেছেন তা থেকে বেরিয়ে আসতে অনেক কষ্ট করতে হবে বাইডেন সরকারকে। টিমগুলোকে কাজ করতে দিতে হবে শক্ত হাতে। আমাদেরকে উচ্চ স্থানে যেতে হবে। বাইডেনের জন্য এ কাজ বড় চ্যালেঞ্জের। সাধারন মানুষ হিসেবে আমরা সবাই আমেরিকার ভালো চাই। ট্রাম্প যেভাবে দেশের ক্ষতি করে গেছেন, তা থেকে জো বাইডেন কিভাবে কাজ করবেন, সে বিষয়ে চিন্তার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাম্পের লোকজন দেশকে যেভাবে হতাশার দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তা থেকে টেনে আনতে হবে দেশকে।


ট্রাম্পের তো কোন দর্শন নেই। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে এমন কিছু পাওয়া যায়নি তাঁর কাছ থেকে। এখন যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এদেশকে থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রির দিকে নিয়ে যান তা হলে আমেরিকার কি হবে? রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশের কি হবে, তা কি ভেবেছেন তারা? ডেমোক্রেটদের এসবের দিকে সঠিক মনোযোগ দিতে হবে। রিপাবলিকান সিনেটর মিট রমনি থেকে আরম্ভ করে অনেকেই ট্রাম্পের এই অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরোধিতা করেছেন। “আমি মানুষ হয়ে মানুষের জন্য কাজ করবো এটাই আমার জীবনের ব্রত হওয়া উচিত”।
দেশের গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমন বন্ধ করা, জলবায়ু সম্পর্কে বাইডেন সরকারের প্রতিক্রিয়া, ক্ষমতায় এসে প্রথমে তাঁরা কি কি প্রাইওরিটি দিবেন তা ইতিমধ্যেই জো বাইডেন তাঁর বক্তৃতায় খোলাসা করেছেন। ট্রাম্প জলবায়ু থেকে সরে এসেছেন, এতে করে তিনি বহির্বিশ্ব থেকে আমেরিকাকে আলাদা করে ফেলেছেন। জলবায়ুকে সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানের বিরুদ্ধেও তিনি লেগেছেন। কি সব কান্ড তাঁর।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তিনি ক্ষমতায় এসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সকল ঘৃণা দূর করবেন। মুসলিম দেশগুলোর উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন। যেসব তরুণরা এ দেশে এসেছেন, তাদেরকে এদেশে থাকার অনুমতি দিবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ট্রাম্প বেরিয়ে গেলেও তিনি আবার ফিরে আসবেন। জো বাইডেন বলেন, আমি এমন একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ করছি যে, আমেরিকাকে বিভাজন নয় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবো আমরা।

হিসেবে দেখা যায় রিপাবলিকানরা ক্ষমতায় আসলেই উগ্রবাদী আচরণ করেন। তারা মনে করেন দেশটা বোধ হয় তাদের। কারোর মতামতের তোয়াক্কা করেন না তাঁরা। প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ তিনিও রিপাবলিকান। ক্ষমতায় এসেই ইরাকের সাথে যুদ্ধ শুরু করে দিলেন। এক সাদ্দাম হোসেনকে মারার জন্যে গোটা ইরাক দেশটাকে ছাড়খার করে দিলেন। হাজার হাজার নর-নারী শিশু মৃত্যুবরন করে সে যুদ্ধে। এখনো বহু মানুষ শিশু পঙ্গু আজীবেনের জন্যে, শুধু বুশের কারনে। কি তাদের অপরাধ ছিল? পরে প্রমাণ হয় ঐ যুদ্ধ একেবারেই বেহুদা ছিল। প্রেসিডেন্ট বুশ দেশের ইকোনমি ধ্বংস করে গেছেন এসব যুদ্ধের জন্যে। দেশের মানুষ তথা বিশ্ব সম্প্রদায় তাকে ঘৃণা করে এজন্যে। এসব বুঝে বুশ নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন, কোথায়ও দেখা যায় না তাকে। এসব মানুষদের জন্যে আমেরিকার জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।


এদের কারণে সারা দুনিয়ায় আমেরিকানদের দেখলে মানুষ খারাপভাবে। মানুষ ভাবে আমেরিকা শক্তিশালী দেশ, এরা শুধু যুদ্ধ করে বেড়ায়। অথচ বিশ্বাস করুন, আমেরিকান জনগন বড় নিরিহ, সভ্য, ভদ্র জাতি। এরা হিংসা-বিদ্বেষ, হানা-হানি জানেনা কিছু। এরা সহজ-সরল। সংবিধানে প্রেসিডেন্টকে দেশের স্বার্থে একক ক্ষমতা দেয়া আছে যুদ্ধ করার। সেই ক্ষমতা বলেই প্রেসিডেন্টগণ অন্যদেশে ছড়ি ঘুরায়। তবে কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ভোটে তিনি তা পারেন না। একজন মানুষের ইচ্চার কারণে, ইগোর কারনে গোটা আমেরিকান জাতি বিপদের সম্মুখিন হন সব সময়। এবার ট্রাম্পও ক্ষমতায় এসে সেই কাজটিই করেন। তিনিও রিপাবলিকান।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যা করেন অন্য একটি দেশে গিয়ে। জেনারেল সোলায়মানির মৃত্যুর পড়ে খোদ ইরান সহ সমগ্র বিশ্বে যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, তা মধ্যপ্রাচ্য সংকটে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি কোন কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জেনারেল সোলায়মানি জড়িত ছিলেন। আপনার ক্ষমতা আছে বলেই এমন সব কান্ড করবেন, আমেরিকার ইমেজ ক্ষুন্য করবেন, তাতো হতে পারে না।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৫০ বছর আগের অবস্থায় ফিরে গেলেন। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট জন এডামস। ১৮০০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী টমাস জেফারসনকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেছিলেন। এডামস ট্রাম্পের মতই একগুয়েমী করেছিলেন। তিনি হোয়াইট হাউস ছাড়বেন না। জেফারসন শপথ নিচ্ছিলেন সেখানেও অনুপস্থিত ছিলেন এডামস। হোয়াইট হাউসের সবাই এজন্য এডামসকে বয়কট করলেন। হোয়াইট হাউস থেকে তাঁর জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে শুরু করলেন। প্রেসিডেন্টের জন্য চলমান সমস্ত সুরক্ষা তুলে নেয়া হলো। সমস্ত অফিসিয়াল যোগাযোগ কেটে দেয়া হলো। এডামসের সকল কর্মচারীরা তাঁর নির্দেশ শোনা বন্ধ করে দিলো। অবস্থা বেগতিক দেখে এডামস ৩রা মার্চ অভিষেকের আগের দিন ওয়াশিংটন থেকে রাতের আধারে পালিয়ে যান। সেই সময় থেকেই হোয়াইট হাউসের দায়িত্বপ্রাপ্তরা এই কথাটি মনে রেখেছেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্টের পরাজয়ের পর নির্দিষ্ট দিনের পর তাঁর নির্দেশ আর মানবেন না। রাষ্ট্রের সতন্ত্র সংস্থা গুলো আপনা আপনি নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য কাজ শুরু করে দেয়। সেনা, সিক্রেট সার্ভিস, সিআইএ, এফবিআই, হোয়াইট হাউসের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সকলেই একটি আইনের আওয়তায় কাজ করেন। জনগন যাকে ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন তাঁর অনুগত হয়ে পড়েন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তা বুঝে গেছেন বলেই হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যাবেন। কোন উপায় নেই তাঁর।

যেমন জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট হওয়ার দিন থেকেই এরা তাঁর দায়িত্বে ও নিরাপত্তায় এসে পরেন। এমনকি তাঁর বাড়ির ওপর দিয়ে প্লেন চলাচলের ব্যবস্থাও সরিয়ে দিলেন। ২০শে জানুয়ারির মধ্যে হোয়াইট হাউসের কর্মীরা ট্রাম্পের সমস্ত জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলবেন। এবং তাঁরা কারোর নির্দেশের অপেক্ষায় থাকবেন না। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলেনিয়া ট্রাম্পের ২০শে জানুয়ারির মধ্যাহ্ন থেকে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে। এর পরিবর্তে জো বাইডেন ও ডঃ জিল বাইডেন ২০শে জানুয়ারির মধ্যাহ্ন থেকে হোয়াইট হাউসের নতুন বস হিসেবে গন্য হবেন। ২০শে জানুয়ারির মধ্যাহ্নে সরকারের সমস্ত নেটওয়ার্ক ট্রাম্পের সঙ্গে কেটে যাবে। পেন্টাগন, সিআইএ, এফবিআই, এটর্নি জেনারেল তাঁরা আর ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন না। ২০শে জানুয়ারি এয়ারফোর্স ওয়ান প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানবহর বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে শেষ বারের মতো অভিবাদন জানাবেন। সেই মুহুর্তেই বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষটি ক্ষমতাহীন হয়ে যাবেন। কি সুন্দর এই আমেরিকার গণতন্ত্র। দেশের ফাউন্ডিং ফাদারগণ এভাবেই দেশকে সাজিয়ে গেছেন। ট্রাম্পের মতো কেউ ক্ষমতায় আসলে যাতে ক্ষমতা আক্রে ধরে না রাখতে পারেন। তাঁকে যেতে হবে নিয়ম মতই। এজন্য ফাউন্ডিং ফাদারগণকে সাধুবাদ জানাই।

advertisement

Posted ১২:০০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

গল্প : দুই বোন
গল্প : দুই বোন

(6241 বার পঠিত)

স্মরণে যাতনা
স্মরণে যাতনা

(1303 বার পঠিত)

মানব পাচার কেন
মানব পাচার কেন

(1147 বার পঠিত)

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.